নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তি ও উপসর্গ নিয়ে আরও তিন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৪ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হাসপাতালের প্রশাসনিক শাখা। হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানিয়েছেন, উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তিদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে করোনায় আক্রান্ত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
শেবাচিম হাসপাতাল সূত্র জানায়, রোববার সকাল ৮টায় আমেনা খানম (৬৫) নামে এক বৃদ্ধা হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মারা যান। তিনি পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী এলাকার খবির উদ্দিনের স্ত্রী। গত ১২ জুন রাত পৌনে ৯টার দিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনি শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনা পরীক্ষার জন্য ভর্তির পর তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। তবে রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত ১৩ জুন বিকেল ৫টার দিকে বরিশাল মেট্রোপলিটনের বন্দর থানার মুশুরিয়া এলাকার বাসিন্দা ইব্রাহিম (৭৫) নামে এক বৃদ্ধ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মারা যান। তিনি ওইদিন বিকেল সোয়া ৫টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হন। মৃত্যুর পর তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে গত ১৩ জুন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানার বড়ইকান্দি এলাকার হাবিবুর রহমান (৬০) নামে এক বৃদ্ধ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মারা যান। তিনি ওইদিন দুপুর পৌনে ২টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হন। মৃত্যুর পর তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া গত ১৩ জুন দিনগত রাত ১০টার দিকে পটুয়াখালী জেলা সদরে চাঙ্গাখালী এলাকার আমজেদ মুন্সীর ছেলে বজলুর রহমান (৫৮) নামে এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া বজলুর রহমান গত ১২ জুন সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তির পর তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হলে রিপোর্টে করোনা পজেটিভ আসে। এ নিয়ে শেবচিম হাসপাতালে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জন। যার মধ্যে করোনা পজেটিভ ১৮ জনের ও নেগেটিভ ৩৫ জনের এসেছে। এখনো ৫ জন রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন।
Leave a Reply